দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বানারীপাড়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে মারধর। আর এ মারধরে ২ জন আহত হওয়ায় ২ মে মো. মেহেদি হাসান বাবু (২৮) ও মোসা. ফারজানা আক্তারকে বিবাদী করে থানায় অপু আকন বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বানারীপাড়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নাজিরপুর গ্রামে বাদী ও বিবাদীদের বসবাস। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসতেছিলো। একইদিন বিকেল ৫টার সময় উল্লখিত বিবাদীরা ও কতেক অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা বাদীর বসত অনধিকার প্রবেশ করে। এ সময় তাদের হাতে লোহার রড ও লাঠি সোটা ছিলো বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। আরও জানা যায় ঘরে প্রবেশ করে তারা তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে বাদীকে এলোপাথারীভাবে কিল,ঘুষি মারতে থাকে। এতে তার শরীরের বহুআংশে নীলা ফুলা জখমের সৃষ্টি হলে তার ডাকচিৎকারে অপুর মা মোসাম্মদ নুর নাহার বেগম এগিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করতে আসেন। এ সময় বিবাদী ও অজ্ঞাতনামারা উত্তেজিত হইয়া অপুর মাকেও পিটাইয়া তার শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলা ফুলা জখম করে। এর পরেও তাদের আক্রোশ মেটাতে বৃদ্ধ নুর নাহারের মাথা লক্ষ করিয়া লোহার রড দিয়ে বারি মারিলে ভয়ে সে মাটিতে পরিয়া গেলে তার ডান পায়ের হাটুতে ওই বারি লাগে এতে তার গুরত্বর হাড়ভাংগা জখম হয়। ২নং বিবাদী বাদীর পাঞ্জাবী টানা হ্যাচরা করিয়া ছিড়িয়া প্রায় ১৫শ টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরে বৃদ্ধ মা ও ছেলের আত্মচিৎকারে কতেক স্বাক্ষিরা এগিয়ে আসলে সকল বিবাদীরা বাদী পক্ষদের খুন-জখমের হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। এ সময় আহত বৃদ্ধ নুর নাহার ও অপু আকনকে উদ্ধার করে বরিশালের বানারীপাড়া ৫০ শয্যা স্বাস্খ কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে বিবাদীরা এলাকায় দাঙ্গা ও লাঠিয়াল প্রকৃতির লোক হওয়ায় তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলকে এবং প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা। ১নং বিবাদী পূর্বে ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ও সরকার বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বর্তমানে সে ছাত্রলীগ বনে গিয়ে এলাকার বহুবিধ অপকর্মের হোতার লিডার হয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বলে স্থানীয় ভাবে জানা গেছে।!
Leave a Reply